মো. উজ্জল মিয়া শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে সফল হয়েছেন কবির হোসেন। ৪ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন তিনি। ইতোমধ্যেই গাছে ফুল ফুটতে শুরু হয়েছে। এক একটি ফুল যেন হাসিমুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। চারিদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছে সে এক অপরূপ দৃশ্য।
কবির হোসেনের ওই জমিতে সূর্যমুখী ফুল ফোটার শুরুতেই প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিয়াসু মানুষ সূর্যমুখী ফুলের সুন্দর্য উপভোগ করতে আসছে। অনেকেই ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন।
উপজেলা বরমী ইউনিয়নের কায়েত পাড়া গ্রামের শাহজাহান হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (৩৫) জানান,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে এ বছর তার ৪ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। পুরো চার বিঘা জমিতেই চমৎকার ফলন হয়েছে। আমার চাষকৃত জমিতে সুন্দর ফলন হয়েছে এবং যে সুন্দর ভাবে ফুল ফুটতে শুরু করেছে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। তবে শুরুতেই দর্শনার্থীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। উপজেলার তেলিহাটি থেকে দর্শনার্থী মোফাজ্জল ও নাজমুল জানান, সূর্যমুখী ফুল চাষ এখন দেখতেই পাওয়া যায়না। এখানে চাষ করেছে জানতে পেড়ে দেখতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে এই ফুলের বাগানে এসে আমরা অনেক ছবি তুলেছি।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রদর্শনী হিসাবে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মণ সূর্যমুখী ফুলের বীজ পাওয়া যাবে। বিঘা প্রতি কৃষকরা ১০ থেকে ১১ হাজার টাকার বীজ বিক্রি করতে পারবেন। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি সফল হওয়া যায় আগামীতে সূর্যমুখীর চাষ অনেক বাড়বে। সূর্যমুখী একটি তেল ফসল হিসেবে বাংলাদেশে চাষ করা হচ্ছে।সূর্যমুখীর তেল ঘিয়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই তেল অন্যান্য ভোজ্য তেল থেকে ভাল এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এবছর শ্রীপুর উপজেলায় প্রদর্শনী হিসাবে গাজীপুর ও বরমী ইউনিয়নে ৮ বিঘা জমিতে প্রদর্শন দেওয়া হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata